পটুয়াখালীর গলাচিপায় ছেলের হাতে মায়ের লাঞ্চিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের কিসমত হরিদেবপুর গ্রামে।
লাঞ্চিত মা শরুবালা জানান, আমার স্বামী রাজেশ^র চন্দ্র দাস অনেক আগেই মারা গেছে। তার মৃত্যুর পরে দুই ছেলের সাথেই থাকি। মানুষের সাথে কাজ করে কিছু টাকা সঞ্চয় করি। মানুষের হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল পালন করে ও পানের বরজে কাজ করে প্রায় ৫২ হাজার টাকা জোগাড় করি। যা আমার বৃদ্ধ বয়সের বেঁচে থাকার অবলম্বন ছিল।
আমার সেই টাকা আমার দুই ছেলের বউ ও ছেলেরা ঘর তোলার জন্য ধার নেয়। আমার স্বামীর পৈত্রিক জায়গায় ওরা ঘর উঠায়। আর আমাকে থাকতে দেয় একটি বারান্দায়। পরে আমি আমার টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমার পুত্রবধু সুভাদ্রা রানী, লিপিকা রানী, ছেলে স্বপন দাস, রিপন দাস আমাকে মারধর করে সেই বারান্দা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয়।
টাকা চাইতে গেলে প্রায়ই তারা আমাকে নির্যাতন করত। আমি ওদের অত্যাচার সইতে না পেরে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেলা ১২ টায় ইউএনও স্যার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি সঠিক বিচার চাই। আর কোন মা যেন সন্তানের হাতে নির্যাতিত না হয় বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ বিষয়ে ছেলে স্বপন দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মায়ের শরীরের এমন কোনো জায়গায় আঘাত করি নি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য দুলাল প্যাদা বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছে।
কিন্তু কয়েকদিন পর আবার ঝগড়ার খবর শুনি। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কাওসার হোসেন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. খালেক মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক আ. হালিম হাওলাদার ও আমাকে সহ ৪ জনকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিখিতভাবে পাঠান। আমি চৌকিদার পাঠিয়ে দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।